গুরুতর অসুস্থ বা দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত, এমন মানুষের জন্য হাসপাতাল জরুরী। অসুস্থ বা আহত লোকটির প্রাণ যায় যায় অবস্থা। সেই লোকটির অফিস-আদালত, গাড়ী-বাড়ী, কিছুই লাগবে না। মুমূর্ষু সেই লোকটির একমাত্র প্রয়োজন - চিকিৎসা। সেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল জরুরী।
এবার এত জরুরী এই হাসপাতালের সংখাটা দেখুন। বাংলাদেশে হাসপাতালের সংখা মাত্র ৬,০০০। এই সংখাটিকে মাত্র বলছি কেন, সেটা জানেন?
কারন, বাংলাদেশে ১,৩০,০০০ টি স্কুল আছে।
স্কুল ও হাসপাতালের সংখ্যা কম বেশি হতে পারে। তাই বলে এত পার্থক্য !! হাসপাতালের চেয়ে স্কুলের সংখা ২২ গুন বেশি !! জীবন রক্ষাকারী অতীব প্রয়োজনীয় হাসপাতালের সংখা এত কম কেন? এর পেছনে ছোট বড় দুটি কারন আছে।
ছোট কারন: হাসপাতাল নির্মাণ ও পরিচালনা করাটা অনেক ব্যয়বহুল ও কস্টসাধ্য। স্কুলের মতন অধিক সংখক হাসপাতাল বানানো যায় না।
বড় কারন: সবাই হাসতালে যায় না। শুধুমাত্র গুরুতর অসুস্থ বা আহত হলে হাসপাতালে যায়। কিন্তু, সবাই (ছাত্রজীবনে) স্কুলে যায়, নিয়মিত যায়।
মূর্তি পূজারীদের উপাসনালয় হলো লাইব্রেরির মতন। লাইব্রেরিতে গেলে ভালো ; না গেলে ক্ষতি নেই। ঠিক তেমনই, মন্দিরে গেলে ভালো (পুণ্য হয়)। মন্দিরে না গেলে পাপ নেই।
ওদিকে, মুসলিমদের উপাসনালয়, মসজিদ হলো স্কুলের মতন। প্রতিদিন ৫ বার মসজিদে যেতে হবে। প্রতিদিন মসজিদে যাবার জন্য রীতিমতো ডাকাডাকি করা হয় (আজান)।
প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক বলেই, দেশে এতগুলো স্কুল লাগে। ঠিক তেমনই প্রতিদিন মসজিদে যাওয়া বাধ্যতামূলক বলেই বেশি সংখক মসজিদ লাগে।
দ্রষ্টব্য:
এত ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবার পরেও, অনেকে ইচ্ছা করে, না বোঝার ভান করবে। অনেকে, এক কথায় উত্তর চাইবে। তাদের জন্য:
হাসপাতাল অবশ্যই প্রয়োজনীয়। তবে, শুধুমাত্র দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে হাসপাতাল প্রয়োজন। ওদিকে, মসজিদ প্রয়োজন প্রতিদিন।
# সংগৃহীত